মজনু আহমেদ সাগরকে সহযোগিতা ও তার পক্ষে নিউজ করায় সাংবাদিক রাজীব আলী রাতুলকে আসামি করা হয়েছে এই মামলায়। রাজীব আলীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদের তার বাবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার বরাবর দরখাস্ত দেন। এ বিষয়ে মজনু আহমেদ সহ সাংবাদিক রাজীব আলী বাবা আরএমপি পুলিশ কমিশনারের অশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ বিষয়ে মজনু আহমেদ সাগর বলেন, ডিভোর্সের পর থেকে আমার সাবেক স্ত্রী মাহবুবা খাতুন নীলা আমার নামে একটার পর একটা মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। ডিভোর্সের পরেও নীলা আমার বাসায় থাকতো । বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হলেও বের না হলে আমরা সেখানে উপস্থিত হলে নিলা সুন্দরভাবে বাসা ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ তদন্তে থাকা অবস্থায় বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহমেদ মামলা গ্রহণ করে। অভিযোগ তদন্তে থাকা অবস্থায় কিভাবে মামলা হয় এ বিষয়ে জনমহলে প্রশ্ন উঠেছে।
সাগর আরও বলেন, আমার নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করবো। মজনু আহমেদ সাগর প্রায় ১৭ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছে। রাজশাহী ছেড়ে পুরো দেশের তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। সাগরের শিক্ষার্থীরা জানায় আমাদের শিক্ষকের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হবো। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এই মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে করা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জানা গেছে, সাংবাদিক রাজীব আলী ও মজনু আহমেদকে কিভাবে ফাঁসানো যায় এ বিষয়ে তমাল দাস নামে এক ব্যক্তির সাথে মাহাবুবা খাতুন নীলার একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তমালকে বলতে শোনা যায় আপনার কাছে কাগজ বা কোনো প্রমাণ নেই আপনি তো কিছু করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, পরকীয়ার জেড় ধরে মজনু আহমেদ সাগরকে মাদক ও অস্ত্র মামালায় ফাঁসিয়েছে নীলা। পরবর্তীতে সাগরকে সহযোগিতা কারী পরিবারের সদস্য, সাংবাদিক, পুলিশ সকলের নামে অভিযোগ দায়ের করে মাহাবুবা খাতুন নীলা।